এস এম সুমন রশিদ,আমতলী( বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামে দীর্ঘদিনের জমিজমাপুর্ন বিরোধ থাকায় সালিশ বৈঠক হলে প্রতিবন্ধী জামাল হাওলাদার ও তার স্ত্রীর সহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন প্রতিপক্ষরা।এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঘোষ খালির বাসিন্দা প্রতিবন্ধী জামাল হাওলাদার।
গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামের বাজার সংলগ্ন জামাল হাওলাদারের দোকানের পূর্ব পাশে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে,প্রতিবন্ধী জামাল হাওলাদার ও সাইদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম এরা একে অপরের ভাই এবং একই ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিনে জানা গেছে, জামাল হাওলাদার গং ও সাইদুল ইসলাম হাওলাদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমে জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।জামাল হাওলাদার আপার উপায় না পেয়ে আমতলী থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিবাদী (১)সাইদুল ইসলাম,পিতা:আবুল কালাম হাওলাদার ,(২)রফিকুল ইসলাম পিতা: ঐ,(৩)কবির মৃধা পিতা সুনু মৃধা(৪)নাহিদ মিরধা পিতা নাসির মির্জা,(৫) জসিম মৃধা পিতা সুনু মৃধা,(৬)তানিয়া স্বামী: রফিকুল হাওলাদার (৭)মোসা: কনিকা স্বামী : সাইদুল ইসলাম এরা উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন গোজখালি গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ঘটনার দিন ২২/০৮/২০২০ ইং সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে জামাল হাওলাদারের বসত ঘরে গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকে আলোচনা চলতে থাকলে এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী জামাল হাওলাদারের ভাগিনা মোঃ আল-আমিন (২৫) থাকে বিরোধপূর্ণ জমিতে লাগানো গাছপালা দেখাতে গেলে সাইদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম জামাল হালাদারের ভাগিনার উপরে ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে এলোপাথারি ভাবে কিল, ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় জামাল হাওলাদারের স্ত্রী ও তার অপর ভাগিনা বিবাদীদের মারামারি ফেরাতে গেলে তারা ঘটনাস্থলে আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে সাইদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করাও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী জামাল হাওলাদার বলেন, বিবাদীগনের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমি ও আমার অপরাপর সহ-শরীকগনের গোজখালী সাকিনে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ও বেলিরত সাফ কবলা দলিল মূলে প্রাপ্ত কিছু জমি নিয়া বিরোধ সহ মনোমালিন্য চলিয়া আসিতেছিলো। অতঃপর বিষয়টি নিয়া বিগত প্রায় ০৬ মাস পূর্বে উপরোল্লেখিত স্বাক্ষীগন সহ গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সালিশ বৈঠক হইলে সালিশগন আমাদের উভয় পক্ষের জমি জমার দলিলপত্র, রেকর্ড-পর্চা সহ অন্যান্য যাবতীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত পেশ করলে সালিশগনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের কার্যপরিধি চলতে থাকে। উভয় পক্ষের স্বাক্ষর গ্রহন করে পরে আমাদের মধ্যকার জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ আপোষ মিমাংশা করে দেন অতঃপর সালিশগন উভয় পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতে উভয়কে জমি-জমা বন্টন করে সিমেন্টের পিলার আইল-সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
বিগত ২৫/০৭/২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকালে আমরা ক্রয়কৃত জমিতে কিছু চারা গাছ রোপন করতে গেলে বিবাদীগন সালিশগনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আমাদের বাঁধা প্রধান করে এবং সালিশগন কর্তৃক নির্ধারিত আইল ও সিমানার কয়েকটি সিমেন্টের পিলার উপড়ে ফেলে দিয়ে যেখানে কিছু সুপাড়ি ও কলা গাছের চাড়া রোপন করেছে প্রতিপক্ষ সাইদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মো : জামাল হাওলাদার আমতলী থানায় বাদী হয়ে (এজাহার) মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ জগলুল হাসান বলেন,আমতলী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত থেকে এজাহারের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
